মঙ্গলবার (১৮ জুন) নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশের প্রায় সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালত চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে এজলাস স্থাপন করা হয়েছে।
এ সময় আইন ও বিধি মোতাবেক গ্রাম আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা তা সরেজমিন যাচাই করতে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক জেলা পর্যায়ে প্রকল্পভূক্ত ৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের জন্য দুই দিনব্যাপী আবাসিক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে আরও গতি আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী।
প্রশিক্ষণ কোর্সে রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াছমীন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সালেহ আহম্মেদ চৌধুরী, সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ পরিচালক, মো. সহিদুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী, সহযোগী সংস্থা ব্লাস্টের জেলা সমন্বয়কারী মো. সাজেদুল আনোয়ার ভূঁইয়া এবং উপজেলা সমন্বয়কারী মো. জানে আলম।
বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র (ইউএনডিপি) আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম জেলার ৫টি উপজেলার (সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) ৪৬টি ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতাভূক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমআর/টিসি