মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে নগরের পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বাংলানিউজকে বলেন, দুদকের হটলাইনে এক ভুক্তভোগী পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনো দালালকে আটক করা না গেলেও পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন নথিপত্র দেখে হটলাইনে করা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি আমরা।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আল আমীন মৃধা বাংলানিউজকে জানান, একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম পরিচয় গোপন রেখে প্রায় দেড় ঘণ্টা পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অবস্থান করে। পরে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, বৈঠকে দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান আরও বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। লোকজন যাতে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে আল আমীন মৃধা বলেন, আমাদের অফিসে কোন দালাল নেই। দুদক যদি দালালের দৌরাত্ম্যের প্রমাণ পায়, তাহলে তারা কাউকে আটক করতে পারলো না কেনো?
‘দুদক টিমের সামনে কয়েকজন সেবাপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। কয়েকজন বেশি টাকা গুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঢাকায় প্রিন্টিং মেশিন ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে পাসপোর্ট অফিসের কেউ টাকা নিয়েছে এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারেননি। ’ দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমআর/এসকে/টিসি