ঢাকা, সোমবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালি অধ্যায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৪, জুন ১৭, ২০১৯
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালি অধ্যায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের আন্তরিকতায় দুই দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে এসেছে। এটিকে আমরা সোনালি অধ্যায় বলি।

সোমবার (১৭ জুন) দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্রমে বাড়ছে।

এদেশে ভারতের অনেক শিল্পকারখানা আছে। তারা এদেশে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
মোংলা ও মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ভারতের জোন থাকবে।

মাস্টারদা সূর্য সেনসহ অনেক কারণে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাষা, কৃষ্টি, ম্যান টু ম্যান যোগাযোগ ইত্যাদি দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করছে।

পারস্পরিক সর্ম্পক এবং উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ২০১৮-১৯ সালে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তৈরিপোশাক রফতানি বেড়েছে। হিরো, টাটার মতো ভারতের অনেক বিখ্যাত কোম্পানি  ৫৭০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি বিনিয়োগ করেছে। উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস পরিবর্তিত হলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে।

হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধাগুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একাত্তরে যখন এদেশে পাকিস্তানিরা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন অকৃত্রিম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল ভারত। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।

ভারত-বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে সড়ক, নৌ, রেলপথের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ৯৮ শতাংশ কনটেইনার এ বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়।

চেম্বার সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১০০ ইকোনমিক জোন করছে। মিরসরাইয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। যেখানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ভারতের ব্যবসায়ীরা এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পারবেন। আশাকরি তারা লাভবান হবেন।

সভায় বক্তব্য দেন সিসিসিআই সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলম, জাপানের অনারারি কনসাল মো. নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, সৈয়দ ছগীর আহমদ, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তৈয়ব, আলী হোসেন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ।

ব্যবসায়ী নেতারা ভারত বাংলাদেশের নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার, ট্রানজিট কার্গো মুভমেন্ট, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।