রোববার (১৬ জুন) সকালে চট্টগ্রাম নগরের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
নুরুল ইসলামের স্থায়ী নিবাস কুমিল্লা শহরে হলেও তার বেড়ে ওঠা, পড়ালেখা রাজনীতি, বসবাস সবই চট্টগ্রামে। ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজে পড়ার সময় প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সহপাঠি হিসেবে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সংগঠকের ভূমিকা পালন ছাড়াও সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আগরতলায় অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নানাভাবে সহযোগিতা করেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।
এছাড়া ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যে তিনজন চট্টগ্রামের রাইফেল ক্লাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রয়াত স্বামী ড.ওয়াজেদ মিয়ার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেন তাদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম। আজীবন নির্লিপ্ত, নিভৃতচারী প্রয়াত নুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তিনি ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনির ভায়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
টিসি