রোববার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরে মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী এ ভাঙচুরে অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। এসময় তাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
মুজাহিদ সংস্কৃত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদের ছেলে।
এর আগে মুজাহিদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেফাজউদ্দিনকে মারধর করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছনাকরাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জায়গা উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদের দখলে থাকা তিন শতক জায়গাও উদ্ধার করা হয়। সেই থেকে তার ছেলে মুজাহিদ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, আমার অফিস কক্ষে সে ও আরও ১০-১২ জন বহিরাগত মিলে সকাল ১০টার দিকে আমার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় এবং নাম ফলক ভাঙচুর করে। বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চাকসু কেন্দ্রের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙচুর করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানকে হুমকি ও ভাঙচুর করার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
জেইউ/টিসি