ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেক হাসপাতাল

হৃদরোগ বিভাগে বাড়ছে সিসিইউ শয্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
হৃদরোগ বিভাগে বাড়ছে সিসিইউ শয্যা ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে নতুন ১৫টি শয্যা দেওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে শয্যা সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগির সিসিইউতে এসব শয্যা স্থাপন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

হৃদরোগ বিভাগে ১৯৮৯ সালে সিসিইউ চালু হয়। বর্তমানে সিসিইউতে ১৬টি শয্যা রয়েছে।

তবে তা রোগীর তুলনায় খুবই কম। সিসিইউতে গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি থাকেন।

হৃদরোগ বিভাগ সূত্র জানায়, বিভাগে নিয়মিত আড়াইশ থেকে তিনশ রোগী ভর্তি থাকেন। এর মধ্যে শতাধিক রোগীকে সিসিইউতে রাখতে হয়। কিন্তু শয্যার অভাবে অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সম্প্রতি হৃদরোগ বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, সেখানে বারান্দায় পর্যন্ত রোগীরা শয্যা পেতেছে। রোগীর জন্য পা ফেলা কষ্টকর। সিসিইউতে গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতেও রোগী রাখা হয়েছে। সাধারণ শয্যার অবস্থা আরও করুণ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে সিসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে এ সেবা দেওয়া গেলে রোগীর অবস্থা ভালো রাখা যায়। নয়তো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

হৃদরোগ বিভাগের প্রধান প্রবীর কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগী সিসিইউতে দিতে হয়। কিন্তু আমাদের শয্যা সীমিত। চাহিদার তুলনায় সিসিইউতে শয্যা কম। এজন্য অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হন।

‘ইতোমধ্যে হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি ১৫টি শয্যা দেয়ার কথা জানিয়েছে। এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কারণ হৃদরোগীর অবস্থা অল্প সময়ের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। অন্তত শয্যা থাকলে রোগীরা সুবিধা পাবেন। ফলে জটিল অবস্থায় থাকা রোগীদের আমরা সিসিইউতে শয্যা দিতে পারবো। ’

তিনি বলেন, হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। শয্যার তুলনায় তিন গুণ বেশি রোগীর চাপ থাকে। সে তুলনায় বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট তো আছে। জুনিয়র চিকিৎসকের ঘাটতিও রয়েছে।

হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘হৃদরোগ বিভাগের সিসিইউতে ১৫টি শয্যা দেওয়া হবে। প্রতি শয্যা বাবদ আনুমানিক এক লাখ ৭০ হাজার খরচ ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিইউর এয়ার কন্ডিশনারগুলো (এসি) মেরামত করে দেওয়া হবে।

এখনো বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসা শেষ আশ্রয় এ হাসপাতাল। সাধারণ থেকে জটিল সব রোগের চিকিৎসা চমেক হাসপাতালে দেওয়া হয়। ২৫ টাকার টিকিটের বিনিময়ে হাসপাতালটিতে সেবা মেলে। তবে রোগীর তুলনায় সুবিধা সীমিত। এজন্য চাহিদামতো সেবা পায় না রোগীরা।

প্রতিদিন এ হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে ছয়শ থেকে নয়শ রোগী ভর্তি হন। নিয়মিত হাসপাতালে ভর্তি থাকেন দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী। এ ছাড়া বহির্বিভাগে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী সেবা নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।