ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ মেয়র নাছিরের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ মেয়র নাছিরের বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি বলেছেন,  সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। চসিকের সব উন্নয়ন কার্যক্রম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং চলমান প্রকল্প দ্রুত সম্পাদন করতে হবে।

বুধবার (১২ জুন) জাইকা সাহায্যপুষ্ট সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের অধীনে সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির ১৬তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ শহরটা আমাদের।

তাই আমাদের শহরকে আমাদেরই সাজিয়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে আলাপ আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধতা না থেকে বাস্তবায়নের প্রয়োগটা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তা দেখভালের  সক্ষমতাও থাকতে হবে। মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে। নগরবাসীর প্রত্যাশাও অনেকগুণ বেড়েছে।

যানজটে নগরবাসীর ত্রাহি অবস্থা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যেখানে যাই সেখানে যানজট আর যানজট। এ অবস্থায় নগরবাসী যাবে কোথায় । এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে উদ্যোগী হবার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন,  শহরে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাড়ি চলাচল করে। আর তাদের যাত্রীসাধারণ যেসব স্থানে নামবে, সেই সব স্থানে কোনো  পার্কিং ব্যবস্থা নেই । এটাতো আধুনিক নগরের পর্যায়ে পড়ে না। অথচ আমরা এ চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা নগরী এবং প্রচ্যের রানি হিসেবে অভিষিক্ত করেছি, এখনো করছি।

চট্টগ্রাম শহরে কত ধরনের যানবাহন চলাচল করে তার আকার-আকৃতি-প্রকৃতি নির্ণয়  করতে হবে। সেই সব যানবাহনের পার্কিং ব্যবস্থার জন্য সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন অতীব জরুরি। এক্ষেত্রে চসিক, সিডিএ ও ট্রাফিক বিভাগ ব্যতিত নগরে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনা অসম্ভব।

সভায় চসিক প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদসহ সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন ও নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কাউন্সিলর এইচএম সোহেল, সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, শফিউল আলম, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আইইবির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী এমএ  রশিদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, প্রকৌশলী মো. হারুন, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, এডিসি মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, সিডিএর টাউন প্ল্যানার মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের পরিচালক রেখা আলম, নারীনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মতামত দেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মূল প্রকল্প যেহেতু চউক বাস্তবায়ন করবে তাই একই কাজ চসিক করার কোনো সুযোগ নেই। যদি জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত কোনো কাজে চসিক সম্পৃক্ত হয় তাহলে ওভারলেপিং হতে পারে।

তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চউকের প্রি-ওয়ার্ক ও ৩০২ কিলোমিটার খাল পরিষ্কারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে চউকের প্রতিনিধির কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচিত সব ওয়ার্ডে কাজ চলছে বলে জানান। এ সময় কাউন্সিলর ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।