মঙ্গলবার (১১ জুন) কনটেইনারগুলো খোলার পর বিষয়টি নিশ্চিত হন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইয়ার্ডে প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের নামে প্লাস্টিক দানা ঘোষণায় আসা কনটেইনারগুলোতে সিমেন্ট পাওয়া গেছে।
‘মানি লন্ডারিং নাকি শুল্ক ফাঁকি’
কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ড বাংলানিউজকে জানান, দুবাই থেকে চালানটি গত ২৬ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
তিনি জানান, প্লাস্টিক দানার শুল্ক হচ্ছে ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, সিমেন্টের শুল্ক হচ্ছে ৯১ শতাংশ। অবশ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক দানার শুল্ক অনুযায়ী ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু সিমেন্টের শুল্ক হিসাব করলে সরকারের রাজস্ব দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং হয়েছে নাকি শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে সেটিই প্রশ্ন। সিমেন্টের নমুনা পরীক্ষা করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলমের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, প্লাস্টিক দানা ঘোষণায় চালানটি এসেছিলো অনেক আগে। মঙ্গলবার (১১ জুন) ইনভেন্ট্রি বা ঘোষণার সঙ্গে পণ্য মিলিয়ে দেখার সময় প্লাস্টিক দাদার পরিবর্তে সিমেন্ট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড একটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। নিয়মিত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে শিল্পকারখানার কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। তাই প্রাথমিকভাবে মানি লন্ডারিং হয়েছে এটি আমরা বলতে পারি না। তাদের আমদানির নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে। অনেক সময় চীনের কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আমদানিকারকদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কমদানি পণ্য ভর্তি করে কনটেইনার পাঠিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে আসলেই কী ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবো। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এআর/টিসি