ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে মেয়র নাছিরের ৩ ঘণ্টা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে মেয়র নাছিরের ৩ ঘণ্টা মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: বেলা ১১টা থেকে ২টা। ৩ ঘণ্টা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) পরিদর্শনকালে মেয়র চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মচারী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, ইপিআই কেন্দ্র, প্রসূতি ও শিশু রোগীর বহির্বিভাগ, সাধারণ, ভিআইপি ও ডিলাক্স কেবিন ঘুরে দেখেন।

তারা চসিক পরিচালিত মেমন হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়ন, কেবিন নবরূপে সাজানো এবং ওয়াশরুম আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন।

মেয়র এ হাসপাতালের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং সৌন্দর্যবর্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উন্নতমানের কেবিন, আলোকায়ন এবং ওয়াশরুমসহ সব কিছু সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। তিনি মডেল ফ্লোর হিসেবে প্রথমে একটি ফ্লোরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য তিন মাসের সময় দিয়ে কাজ করার কথা বলেন।

মেয়র মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের মানবসেবায় শতভাগ আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরে প্রসূতি মা’দের পছন্দ মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল। এ হাসপাতালকে নবরূপে সজ্জিত ও আধুনিকায়ন করে আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, চসিকের মূল কাজ নগর আলোকায়ন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। এর বাইরে গিয়ে চসিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করে আসছে। এ দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের পূর্বসূরিরা। তাদের পথ অনুসরণ করে আমরাও চালিয়ে যাচ্ছি। এতে দেশ-বিদেশে চসিকের সুনাম বাড়লেও বিরাট অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে চসিককে।

মেয়র দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নগরবাসীর চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের শতভাগ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায় মুহূর্তে একজন ডাক্তারই পারেন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একজন রোগীকে নিরাময় করে পরিবার পরিজনকে স্বস্তি দেওয়ার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না। এটা অনেক বড় মানবতার কাজ। চিকিৎসা পেশা একটি মহৎ পেশা। এ পেশার মাধ্যমে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিরসলভাবে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। বক্তব্য দেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউ্দ্দিন আহমদ, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার প্রীতি বড়ৃয়া, মেমন হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার আশীষ মুখার্জি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।