এর আগে রোববার (৯ জুন) সকালে হাসপাতালটিতে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে বহির্বিভাগ চিকিৎসক শূন্য পান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। সেসময় চিকিৎসকরা রোগী রেখে প্রশিক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন বলে সিভিল সার্জন জানান।
এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। পাশাপাশি সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০ শয্যার। তবে সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। জোড়াতালিতে চলছে সেবা। চিকিৎসক আছেন মাত্র ১৪ জন। এর মধ্যে দুই চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ওই হাসপাতালে বহির্বিভাগে সেবা নেন চারশ রোগী।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১০ জুন) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বহির্বিভাগে সেবা চালু হয়েছে। ১২ জন চিকিৎসক রোগী দেখেছেন। সেদিন ৪৬২ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সেবা চালু হয় বহির্বিভাগে। যথারীতি ১২ জন চিকিৎসক হাজির ছিলেন। সেবা নিয়েছেন ৪৪২ জন রোগী।
পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা নাছির বাংলানিউজকে বলেন, আগে সেবা নিতে গেলে চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যেতো না। তবে সিভিল সার্জনের অভিযানের পর হাসপাতালের চিত্র পাল্টেছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, নিয়মিত সেবা চলছে। পাশাপাশি রোগীদের ৩১ রকমের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এমনিতে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম। এর মধ্যে কয়েকজন ছুটিতে আছেন। তবুও চেষ্টা করি রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে। চিকিৎসক সংকট থাকা আমি নিজেও রোগী দেখছি।
‘সিভিল সার্জনের হাসপাতাল পরিদর্শনে দিন চিকিৎসকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণে ছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার প্রশিক্ষণ শেষে পুনরায় সেবা চালু হয়। তবে ভবিষ্যতে বিকল্প চিকিৎসক রেখে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে’ বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, গত দুদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন জমা দিচ্ছেন। পরিদর্শনের পর হাসপাতালটির সেবায় গতি ফিরেছে।
সেবার গতি ফেরাতে জেলার সকল হাসপাতালে এ ধরনের ঝটিকা অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসইউ/টিসি