মঙ্গলবার (১১ জুন) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে জবানবন্দি দেন রিপন নাথ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আসিফ মহিউদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, অমিত মুহুরী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি রিপন নাথ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রিপন নাথ জবানবন্দিতে দাবি করেছে-ঘুমানোর আগে অমিত মুহুরী তাকে সিগারেট খেতে বারণ করে এবং পায়ের কাছে ঘুমাতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, রিপন নাথ আদালতে জবানবন্দি দিলেও পুরো ঘটনা আমরা তদন্ত করছি। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কী না তা বের করার চেষ্টা করছি। কারাগারের ভেতর ইট কীভাবে পেল তাও আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এ ঘটনার সঙ্গে কারাগার সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত কী না তাও বের করার চেষ্টা করছি আমরা।
গত ২৯ মে রাতে কারাগারের ভেতর ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষে রিপন নাথের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন অমিত মুহুরী। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিপন নাথকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ।
তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে ৩ জুন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আসামি রিপন নাথের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে রিপন নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত রিপন নাথ সীতাকুণ্ড উপজেলার ফেদা নগর হেমন্ত সরকার বাড়ির নারায়ন নাথের ছেলে। সে পাহাড়তলী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দি আছে।
খুনের শিকার অমিত মুহুরী কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন গোলাপ সিং লেইনের অরুন মুহুরীর ছেলে।
২০১৭ সালের আগস্টে চট্টগ্রাম নগরের এনায়েতবাজার এলাকার রাণীরদিঘি এলাকায় বন্ধু ইমরানকে খুন করে মরদেহ ড্রামে ভরে দীঘিতে ফেলে দেয় অমিত। ঘটনার পর কুমিল্লায় গিয়ে আত্মগোপনে ছিলো অমিত। সেখান থেকে অমিতকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আসিফ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম। গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে ছিলো অমিত মুহুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসকে/টিসি