মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ মানুষ। এ সময় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে ব্যস্ততম শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর ও আশপাশের সড়কগুলো।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ করেন নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মাছবিক্রেতা ও বোট মালিকরা।
বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার বাংলানিউজকে জানান, ছোট ছোট নৌকাও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনায় লাখ লাখ জেলে পরিবার, মাছ ব্যবসায়ী ও বোট মালিকের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের দাবি হচ্ছে যেহেতু এসব ছোট ছোট বোট গভীর সাগরে যেতে পারে না, উপকূলে অল্প মাছ ধরে তাই তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে ঘোষণা দেওয়া হোক। আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আশাকরি এর মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, স্টিলবডি ও কাঠবডির ফিশিং ট্রলারের ক্ষেত্রে প্রতিবছর প্রজনন মৌসুমে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। কারণ এসব ট্রলার নির্বিচারে বড় মাছের পাশাপাশি জাটকা, পোনা মাছ আহরণ করে। কিন্তু উপকূলীয় জেলেরা ছোট ছোট নৌযানে নির্দিষ্ট কিছু মাছই শুধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এবার এসব জেলেরাও মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শাহ আমানত সেতুর মুখের গোলচত্বরে ১০ মিনিটের প্রতিবাদ সভা করেছিল মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখার দাবিতে। আমরা তাদের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানালে তারা চলে যান।
রোববার (৯ জুন) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৩৮ জেলেপল্লির মানুষ। এরপর তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক বৈঠক করে বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অবহিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। গত ২০ মে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৩ জুলাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এআর/টিসি