রোববার (৯ জুন) কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও নগরের পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে বন্দরনগরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
নগরের বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়।
শহরমুখি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া আসা নিয়ে পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পাশপাশি নির্দিষ্ট ভাড়ার কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে তাদের।
তারা জানান, সিএনজি পাম্পে গ্যাস বন্ধ থাকার অযুহাতে পাঁচগুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। নগরে ফেরার সময়ও একইভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম ছিলো রেল।
ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নগরের অক্সিজেন থেকে ফটিকছড়ি বিবিরহাট পর্যন্ত সিএনজি অটো রিকসায় ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু এখন আদায় করা হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। যেনো মগের মুল্লুক!
উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও দুই পার্বত্য জেলার বাসস্টেশন অক্সিজেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলাসহ পর্যটননগরী কক্সবাজারের বাসস্টেশন শাহ আমানত ব্রিজে নগরমুখি মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে শনিবার সকালে। ভিড় ছিলো নগরের অলংকার, একে খান ও বিআরটিসি বাস কাউন্টারেও।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিডিউল অনুযায়ী সব ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। কোনো সিডিউল বিপর্যয়ের খবর পাইনি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
এমআর/টিসি