ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএসএমএমইউ’র বোমার সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র তদন্তের তাগিদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৯
বিএসএমএমইউ’র বোমার সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র তদন্তের তাগিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পেট্রল বোমা সদৃশ্য বোতল উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড বা অন্য কোনো হাসপাতালে সরানোর পরিকল্পনার যোগসূত্র রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে নগরের দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে পেট্রল বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। বোমা সদৃশ্য বোতল উদ্ধারের পেছনে ‘ওপর মহলের নীলনকশা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদ কারণে অকারণে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ পেট্রলবোমার সঙ্গে রিজভী আহমেদরাই ভালো পরিচিত। তার উদ্বিগ্ন হবার কারণ জানি না। তাদের কর্মীরাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পেট্রলবোমা মানুষের ওপর নিক্ষেপ করেছে। শতশত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বাস-ট্রাক পুড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে। ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রলবোমা মেরেছে। এখন হাসপাতালে বোমা সদৃশ্য বস্তু পাওয়াতে বরং আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন না বলা হচ্ছিল। একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা তিনি এবং তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল বারবার। এখন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা যে নিতে চান না বোমা সদৃশ্য বস্তু পাওয়া সেই পরিকল্পনারই কোনো অংশ কিনা সেটি বরং খুঁজে বের করা দরকার।  

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন দেখা করতে না দিয়ে জেল কোড লংঘন করা হয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, নিজের মতো ব্যাখ্যা না দিয়ে মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল জেল কোড ভালো করে পড়ে নেওয়া। জেল কোডে বলা আছে উৎসবের দিনে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবকে দেখা করতে দিতে হবে। মির্জা ফখরুলসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা খালেদা জিয়ার বন্ধুবান্ধব নয়, তারা হলেন রাজনৈতিক নেতা বা সহকর্মী। এখানে জেল কোডের কোনো লংঘন হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতারা সেই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। সাতজন আত্মীয়-স্বজনকে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।