তবে ছুটিতেও বন্দরের সব বিভাগে কাজ চলছে। কনটেইনার ডেলিভারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরাও কাজ করছেন।
ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ) এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখন ছুটি চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে কনটেইনার ধারক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউস (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভেলেন্ট ইউনিট)। স্বাভাবিক অবস্থায় ইয়ার্ডে ৩০-৩৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার থাকে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে পণ্যভর্তি পাঁচ হাজার আমদানি-রফতানির কনটেইনার ডেলিভারি হয়ে থাকে। শনিবার (১ জুন) ৩ হাজার ৬১৬ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। রোববার (২ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) পর্যন্ত এ সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম।
এদিকে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে ৪০টির বেশি জাহাজ। জেটিতেও আছে কয়েকটি জাহাজ। জট সৃষ্টি হচ্ছে বেসরকারি ১৯টি ডিপোতেও। রফতানি পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, কনটেইনার জট কমাতে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের ঈদের ছুটিতে এবং এর পরে পণ্য ডেলিভারি নিতে বলা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময় ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু ছুটিতে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য নিতে অনাগ্রহী হওয়ায় বন্দরের ওপর চাপ পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৯
এসি/টিসি