ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নতুন ট্রেনে’ যুক্ত হতে ৫০টি ব্রডগেজ বগি প্রস্তুত

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৯
‘নতুন ট্রেনে’ যুক্ত হতে ৫০টি ব্রডগেজ বগি প্রস্তুত ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: ইন্দোনেশিয়া থেকে ইতোমধ্যে ৫০টি ব্রডগেজ বগি দেশে চলে এসেছে। এসব বগির ট্রায়াল রানও করা হয়েছে। অর্থাৎ বগিগুলো প্রস্তুত। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ৫০টি বগি দিয়ে তিনটি নতুন ট্রেন চালু করা যাবে।

তবে তিনটি নয়, ব্রডগেজের ১৭ বগি দিয়ে একটি নতুন ট্রেন চালু করছে সরকার। বাকি বগিগুলো বিভিন্ন ট্রেনে সংযুক্ত করা হবে।

কোরবানের ঈদের আগে ঢাকা থেকে খুলনার দর্শনা রুটে এই নতুন ট্রেনটি চালু হবে।

বর্তমানে আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকালসহ রেলওয়েতে ট্রেন আছে ৩৪৭টি।

এর মধ্যে আন্তঃনগর ৯০টি, মেইল এক্সপ্রেস ডেমু ১২০টি, লোকাল ১৩৫টি। নতুন ট্রেনটি চালু হলে দেশে ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৪৮টিতে।

রেল সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ব্রডগেজ বগি দিয়ে ঢাকা থেকে দর্শনা রুটে একটি নতুন ট্রেন তৈরি করা হবে। বাকি বগিগুলো বিভিন্ন ট্রেনে সংযুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, রেলের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ৫০টি ব্রডগেজ ও ২০০টি মিটারগেজ বগি কেনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপির (ইনকা) সঙ্গে চুক্তি হয়। মিটারগেজ বগিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। আর ব্রডগেজ বগি কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ২১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি বগির আমদানি মূল্য ৫ কোটি টাকা।

চলতি মাসের জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তিন শিফটে এই ৫০টি বগি সৈয়দপুর কারখানায় চলে আসে। এরপর দেওয়া হয় ট্রায়াল রান।

এদিকে চলতি মাস থেকে ৯টি শিপমেন্টে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালে আসবে ২০০টি মিটারগেজ বগি। এই বগিগুলোও ট্রায়াল রানের জন্য রাখা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। ২০০টি মিটারগেজ দিয়ে ১২টি নতুন ট্রেন তৈরি করা যাবে।

ফাইল ফটো। রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানের ঈদের আগে এসব ব্রডগেজ বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত হয়ে যাবে। নতুন এসব বগির অধিকাংশই পুরনো-মেয়াদোত্তীর্ণ বগির স্থলে সংযোজিত হবে। যে কোচগুলো এসেছে সেগুলোর আয়ুষ্কাল অনেক বেশি। এখন রেলবহরে ব্রডগেজ এবং মিটারগেজের যে কোচগুলো আছে সেগুলোর আয়ুষ্কাল ৩৫ বছর। নতুন যে কোচগুলো আমদানি করছি সেগুলোর আয়ুষ্কাল ৪৫ বছর। এসব বগি ট্রেনে যুক্ত হলে মানুষের চাপ অর্ধেকে নেমে আসবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে সবচেয়ে বেশি ট্রেন চলে পূর্বাঞ্চলে। এ অঞ্চলের পুরোটাই মিটারগেজ। নতুন ২০০টি মিটারগেজ বগি যুক্ত হবে এই অঞ্চলে। আর পশ্চিমাঞ্চল পুরোটাই ব্রডগেজ। ওই অঞ্চলের জন্য আমদানি করা হচ্ছে ৫০টি ব্রডগেজ।

হারুনুর রশীদ বলেন, ৫০টি ব্রডগেজ বগি থেকে নতুন যে তিনটি ট্রেন তৈরি করা হবে সেগুলো ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। প্রতি মিনিটে চলবে প্রায় আড়াই কিলোমিটার। বগিগুলোতে বায়ো-টয়লেট যুক্ত থাকছে। প্লেনের মতো বায়ো-টয়লেট পদ্ধতি থাকায় রেললাইনে কোনো মলমূত্র পড়বে না। ফলে পরিবেশ যেমন দূষণ হবে না তেমনি ট্রেনগুলোও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও দূষণমুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।