বুধবার (৫ জুন) ঈদের নামাজের পর শিশুদের নিয়ে অনেকে ছুটবেন শিশু পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানায়।
তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাবেন ফয়েস লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পারকি সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, স্বাধীনতা পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে।
শেষ মুহূর্তে ধোয়ামোছা, রাইডের যন্ত্রাংশগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন বিনোদন কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা:
ঈদে দর্শনার্থীদের জন্য বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
কয়েকশ প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি নিয়ে তৈরি অ্যাভিয়ারি পার্ক, আফ্রিকা থেকে আমদানি করা রয়েল বেঙ্গল টাইগার-জ্রেব্রা, উট পাখি, ইমু পাখিসহ নানান প্রজাতির পশুপাখিতে মুখরিত এ চিড়িয়াখানা মাত্র ৫০ টাকায় টিকিট কেটে ঘুরে আসা যাবে অনায়াসে।
চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর ঈদে দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু দেওয়ার প্রয়াস থাকে আমাদের। এবারও নতুন নতুন পশু-পাখির সঙ্গে পশু-পাখির ম্যুরাল সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন দেওয়াল, শিশুদের জন্য দোলনা, খেলনা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন রেখেছি আমরা।
ফয়েস লেক:
ঈদে মাত্র ৪০০ টাকায় ঘুরে আসা যাবে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বিনোদন পার্ক ফয়েস লেকে। নীল পানির ওয়াটার পার্ক ‘সী ওয়ার্ল্ডে’ ঘুরতে চাইলে গুনতে হবে ৬০০ টাকা।
ফয়েস লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের সহকারী ব্যবস্থাপক বিশ্বজিত ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে সবগুলো রাইড সংস্কারসহ পুরো ফয়েস লেক ঈদের সাজে সাজিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, ঈদের দিন দুপুর দুইটা থেকে এবং অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ফয়েস লেক ও সী ওয়ার্ল্ড।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত:
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে পরিচালিত উন্নয়নকাজে আমূল বদলে গেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। ঈদে সব বয়সী মানুষের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হতে পারে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এ স্থানটি।
নগরের পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঈদকে ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের সহায়তার জন্য নেভাল অ্যাকাডেমি, সমুদ্র সৈকত এবং প্রজাপতি পার্কে পুলিশের তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সৈকত এলাকায় ঘুরতে পারবেন বিনোদনপ্রেমী মানুষ।
পারকি সমুদ্র সৈকত:
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত পারকি সমুদ্র সৈকত ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য জনপ্রিয় একটি স্থান। দলবেধে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ ঘুরতে আসেন এখানে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সৈকতে ঘুরতে আসা লোকজনের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন প্রতিদিন সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নয়নাভিরাম পারকি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন সব বয়সী লোকজন।
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত:
চট্টগ্রাম শহরের পাশেই সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। নান্দনিক শৈলীর জন্য অনন্য এ সৈকত ঘুরে ভালোলাগবে যে কারও।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বাংলানিউজকে জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গুলিয়াখালী সৈকতসহ সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসেন লোকজন। তাদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।
এছাড়াও নগরের স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, জাম্বুরি পার্ক, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক নগরবাসীর ঈদ উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করবে- এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এমআর/টিসি