ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিথ্যা বলায় ফখরুল রেকর্ড ভেঙেছেন: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৯
মিথ্যা বলায় ফখরুল রেকর্ড ভেঙেছেন: তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে যদি মিথ্যা কথা বলার জন্য কোনো পুরস্কার দেওয়া হতো, তাহলে সেখানে প্রথম পুরস্কার পেতেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ আয়োজিত সংবর্ধনা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্নির্মাণ করার ক্ষেত্রে যুবলীগ ভ্যানগার্ডের মত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি আমরা ১৭-১৮ অর্থ বছরে অতিক্রম করতে পেরেছি মাত্র।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু আগে দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত দেশে পরিণত হতো।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শহর থেকে গ্রাম নির্বিশেষে সমগ্র দেশ বদলে গেছে। এখন দেশের কোথাও ছেঁড়া কাপড় পরা ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। গ্রামের কোথাও কুঁড়েঘর দেখা যায় না। গ্রামের মেঠোপথ এখন পিচঢালা পথে রূপ নিয়েছে। দেশ বদলে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা উন্নত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটে আওয়ামী লীগ এখন পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। মানুষ যেন আমাদের দলকে আবারও ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনে সেজন্য যুবলীগকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। আমাদের আচরণে যেন কেউ বিরক্ত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডে যদি মানুষ বিরক্ত হয়- অনেক উন্নয়ন করার পরও মানুষ আমাদেরকে সমর্থন করবে না।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, নগর যুবলীগের আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।