কথাগুলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়াছিন আলীর। ঈদের বাজারে ঈদের কেনাকাটায় নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এভাবেই বাংলানিউজকে বলছিলেন তিনি।
চট্টগ্রাম: মা তাঁতের শাড়ি পছন্দ করেন। তবে স্ত্রীর পছন্দ কাতান। ছেলে বায়না ধরেছে রেমন্ডের শার্টের। কিন্তু বাবা নেবেন খাদি পাঞ্জাবি। আগে ঈদ এলেই সবার ভিন্ন ভিন্ন এসব অবদার মেটাতে ছুটতে হতো মার্কেটে মার্কেটে। এবার সে ঝামেলা নেই। মেগাশপ মেগামার্টের এক ছাদের নিচেই পাচ্ছি সব।
কথাগুলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়াছিন আলীর। ঈদের বাজারে ঈদের কেনাকাটায় নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এভাবেই বাংলানিউজকে বলছিলেন তিনি।
যেখানে প্রায় ৩০ হাজার বর্গ ফুটের বিশাল ৩টি ফ্লোরে একছাদের নিচেই মিলছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের শাড়ি, থ্রি-পিছ, লেহেঙ্গা, শার্ট, পেন্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ওড়না, হিজাব, জুতা, সেন্ডেল, প্রসাধনী সাম্রগীসহ ঈদ বাজারের সবকিছু একসঙ্গে।
মেগামার্টের বিক্রয়কর্মী মো. শাহজাহান বলেন, এবার ঈদে মেগামার্টে সিলভার কাতান, এন্ডি কাতান, বেঙ্গলুরে কাতান, পিউর কাতান, বুম্বে লিলেন, অরগেনজা পার্টি, নেট পার্টি শাড়ি ছাড়াও গাউন ও লেহেঙ্গা মিলছে সুলভ মূল্যে।
এ ছাড়াও দেশীয় ও ইন্ডিয়ান ফেব্রিক্সের পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়, এমব্রয়ডারি কাজের পাঞ্জাবি ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় এবং কারচুপি কাজের পাঞ্জাবি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজারা টাকায় মিলছে মেগামার্টে।
মেগামার্টের কর্ণধার আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, হায়ার ক্লাস ও মিডল হায়ার ক্লাস ক্রেতাদের কথা চিন্তা করেই মেগামার্ট পোশাক তৈরি করে। মেগামার্টে বিক্রি হওয়া পোশাক সামগ্রীর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ মেগামার্টের নিজস্ব ফ্যাক্টরীতেই তৈরি করা হয়। ফলে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদিত সেরা পণ্যটি সাশ্রয়ী মুল্যে পান আমাদের ক্রেতারা।
তিনি বলেন, মেগামার্ট সবসময় বৈশ্বিক চলমান ট্রেন্ডকে ফলো করে পোশাক ডিজাইন করে। ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে একই ছাদের নিচে পরিবারের সবার জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটার সুযোগ থাকায় ক্রেতারা স্বল্পসময়ে যানজট বা যে কোন ধরনের ঝামেলা এড়িয়ে এখানে আসেন। আমাদের ক্রেতাবান্ধব বিক্রয়কর্মীরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের সহায়তা করেন।
এবার ঈদ উপলক্ষে মেগামার্টে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ডিজাইনের শাড়ি, থ্রি-পিছ, পাঞ্জাবি, শার্ট, পেন্টসহ তৈরি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
এমআর/টিসি