ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পোশাকের দাম দেখে মিমি ছাড়ছেন ক্রেতারা!

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
পোশাকের দাম দেখে মিমি ছাড়ছেন ক্রেতারা! পোশাকের দাম দেখে মিমি ছাড়ছেন ক্রেতারা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: মেয়ে ওসাইমার জন্য পোশাক কিনতে মিমি সুপার মার্কেটে এসেছেন গৃহিণী ইসমে আজম সেতেরা। নিচ তলায় শিশুদের পোশাক বিক্রির দোকান ‘দোল’ এ গিয়ে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা তার। বিক্রেতা ৪ বছর বয়সী শিশুর একটি পোশাকের দাম হাঁকিয়েছেন সাড়ে ৭ হাজার টাকা!

‘দোল’ থেকে বের হয়ে শিশুদের পোশাক বিক্রির দোকান ‘ইয়ং লেডি’ ও ‘সাথীতে’ গিয়েও একই অবস্থা সেতেরার। বাড়তি দামের কারণে শেষ পর্যন্ত পোশাক না কিনেই মিমি সুপার মার্কেট ছেড়ে যান নগরের খুলশী থেকে আসা এ গৃহিণী।

সেতেরা বাংলানিউজকে জানান, ভালো কালেকশনের কারণে বরাবরই প্রথম পছন্দ মিমি সুপার মার্কেট। তবে মেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা।

প্রতিটি পোশাকের দাম কয়েকগুন বাড়তি। এতো লাভের টাকা বিক্রেতারা কোথায় নিয়ে যাবে, কে জানে?

তিনি বলেন, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সে যে পোশাকের দাম ২ হাজার টাকা, সেটি কীভাবে মিমিতে এসে সাড়ে তিন হাজার টাকা হয়ে যায়? আশা করি সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি দেখবেন।

মিমি সুপার মার্কেটে শাড়ি দেখছেন ক্রেতারা।  ছবি: সোহেল সরওয়ার

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে নগরের অন্যতম অভিজাত বিপনী বিতান মিমি সুপার মার্কেট ঘুরে দেখো গেছে, সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা, আকর্ষণ, আঁচল, কাঁকন, কংকন, পিন্ধনসহ মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও বাড়তি দামের কারণে তারা কিনছেন কম।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিং টিমের অভিযানের পর মিমিতে পোশাকের দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ কারণে বিক্রি কিছুটা কমেছে।

মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ‘আঁচল শাড়ি’র মালিক জয়নাল আবেদিন কাঞ্চন বাংলানিউজকে জানান, পোলো ব্রান্ডের একটি গেঞ্জি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার একই ডিজাইনের পোলো লেখা গেঞ্জি হকার মার্কেটে দেড়শ টাকায় বিক্রি হয়। দুটি পণ্যের মান কিন্তু সমান না। ক্রেতাকে সেটি বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যরা অভিযানে এলেন। কিছুক্ষণ ঘুরে বললেন- মিমিতে দাম বেশি। মিমিতে দাম বেশি সেটি ওনারা কীভাবে বুঝলেন? ওনারা কী কাপড়ের ব্যবসা করেন?

‘পোশাক বিক্রি করেই আমরা পরিবার চালাই। সুতরাং ক্রেতা ঠকিয়ে পোশাকের দামে বেশি আমরা কেনো নেবো? আপনি ভালো মানের পোশাক কিনতে চাইলে দামও তো ভালো পোশাকের দিতে হবে। ’ যোগ করেন জয়নাল আবেদিন।

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার (২৪ মে) মিমি সুপার মার্কেটে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনগুন দামে পোশাক বিক্রি, পোশাকের গায়ে ‘প্রাইজ ট্যাগ’ না লাগানোসহ নানা অপরাধে মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।