ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি ছাড়লো ওলামা পরিষদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি ছাড়লো ওলামা পরিষদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আশিকুর রহমান

চট্টগ্রাম: উগ্র, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি ছেড়েছেন সংগঠনটির ওলামা পরিষদের নেতারা।

রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আশিকুর রহমান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভই একমাত্র পথ।

যে তরিকাই হোক না কেন, প্রতিটি তরিকতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা আছে। তরিকতের আলোকে এ সংগঠন (মুনিরীয়া যুব তবলীগ) সমাজ ও আগামী প্রজন্মকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনার কথা থাকলেও আদৌ সংগঠনের কর্ণধার এ দিকে মনোযোগ না দিয়ে ভিন্ন পথে নিজের আখের গোছানোর অভিপ্রায়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিনিয়ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
যা ওলামা পরিষদসহ রাউজানের শান্তিপ্রিয় আপামর জনসাধারণ সমর্থন করে না।

বিবেকের তাড়নায় একটি ভুল ও ভ্রান্ত মতবাদের তরিকতের সঙ্গে জড়িত ছিলাম বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং তওবা করার মধ্য দিয়ে নিজেকে হালকা বোধ করছি।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা আগে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির ওলামা পরিষদের বিভিন্ন পদে আসীন ছিলাম। কিন্তু ভণ্ডপীর মুনির উল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন সময় মাহফিলে ওলামাদের দ্বারা নির্ধারিত বক্তব্য লিখিত আকারে পাঠিয়ে পাঠ করা হতো। যা কোরআন, হাদিস তথা ইসলামি শরিয়তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও উস্কানিমূলক। আমরা লিখিত বক্তব্যের বাইরে কিছু বলতে গেলে মুনির উল্লাহর রোষানলের শিকার হতাম এবং অনেক ওলামা বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়ে সংগঠন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

তার লালিত গুণ্ডা বাহিনী মুনির উল্লাহর মতাদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু বললে তাদের হত্যা, হামলা, মামলাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জমিজমা দখল করতো। মাওলানা শফিউল আলম নেজামী, মফজল আহমদ নঈমী, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতেয়ার, মাওলানা মুঈনুদ্দীন রেজভী, মাওলানা নুরুন্নবীসহ অসংখ্য আলেম-ওলামার রগ কাটা, শারীরিক নির্যাতন, লাঞ্ছিত করা ছাড়াও নিরীহ কিশোর নঈমুদ্দীনকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ার ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছার, আল্লামা গাজী মুঈনুদ্দীন রেজভী, মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়বুল ইসলাম তাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ওলামা পরিষদের মুফতি ইব্রাহিম হানফী, মাওলানা এমদাদুল হক মুনিরী, সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ রশিদী, মাওলানা মমতাজুল হক নুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।