জানা গেছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট বাইপাস সড়কে পাশ ঘেষে পাহাড় দখল করে গড়ে উঠা মাঝিরঘোনা এলাকায় শতাধিক পরিবারের বাস। সেখানে একাধিক মসজিদ, মাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
অন্যদিকে বাইপাস সড়কের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতিক্রমে ওই এলাকায় পাহাড় কাটছে সিডিএ। এতে করে সেখানকার পানি চলাচল ড্রেনটিতে গিয়ে মাটি জমে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লিমা আকতার বলেন, পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। নিচু এলাকার ঘরগুলোতে পানি ঢুকে গেছে।
এদিকে শনিবার (২৫ মে) সকালে ভুক্তভোগী শতাধিক বাসিন্দা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিযোগ দেন। এরপর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে পানি চলাচল ড্রেন তৈরির নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বাংলানিউজকে বলেন, মেয়রের নির্দেশে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক পানি চলাচলের ড্রেনটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ স্বাভাবিক চলাফেলা করছেন।
জানতে চাইলে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের কাজের জন্য ওই এলাকায় মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ফলে পানি চলাচলের ড্রেনটি ভরাট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসইউ/টিসি