শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যার পর প্রায় দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের প্রবর্তক মোড়, জিইসি, ওয়াসার মোড়, চকবাজার, নাসিরাবাদ, মুরাদপুর, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ঈদবাজারেও এর প্রভাব পড়ে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ সাময়িকভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১২-১৮ কিলোমিটার বেগে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩৫-৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত আছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ি ব্লক হয়ে যাওয়া নগরের ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চউকের ৫ হাজার ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
নগরের বেশকিছু ব্রিজ-কালভার্টের নিচ দিয়ে কেজিডিসিএল, ওয়াসা, বিটিসিএলের সংযোগ লাইন যাওয়ায় ও ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চউক, চসিক, ওয়াসা, পাউবো ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও সেবা সংস্থা কাজ করছে। শহরে মোট খাল আছে ৫৫টি। ইতোমধ্যে ১৩টি খালের পুনঃখনন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
খালগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৫টি রেগুলেটর বসানো হচ্ছে। অন্যান্য সংস্থা আরো ৪০টি রেগুলেটর বসানো হবে। খাল সিস্টেমকে তিন ভাগে ভাগ করে প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এগুলো হলো- নয়াখাল, চাক্তাই খাল ও মহেশ খাল সিস্টেম।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই নগর এই অবস্থা হলে আসন্ন বর্ষায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। মেগা প্রকল্পের কাজ এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। খাল খননে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসি/টিসি