ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কৃষকদের নিয়ে বিএনপির কথা বলার অধিকার নেই’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
‘কৃষকদের নিয়ে বিএনপির কথা বলার অধিকার নেই’ বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম: বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাদের সময়ে কৃষকরা সারের দাবিতে আন্দোলন করলে গুলি করে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।

যারা কৃষকদের গুলি করে মারে, সার বীজ দিতে পারে না তাদের কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।

শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার  গঠন করার পর ১৯৯৯ সালে খাদ্য ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এসে লুটপাটের কারণে দেশে আবারও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।

বিএনপির অর্থমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিনবেলা ভাত খাওয়ার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তিনি সেসময় ভাতের পরিবর্তে সবাইকে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

উপজেলা সদরের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মেয়র শাহজাহান সিকদার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী শাহ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাদেকুন নূর সিকদার, আক্তার কামাল চৌধুরী প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে সার বীজসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি দেওয়াসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্ন হলেও দেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের অতিরিক্ত ফলনের কারণে দাম কম হলে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। এর ফলে বাজারে ধানের দামে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। অথচ বিএনপি কৃষকের উন্নয়নে কিছু না করেও এখনো নানা কূটকৌশলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। জুটমিলের শ্রমিকদের আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে কৃষকদের ফুসলিয়ে তাদের দিয়ে আন্দোলন করাতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণ বিএনপির এমন ঘৃণ্য কাজ রুখে দিয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দল এখন পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর কোনো আনন্দ মিছিল করিনি। দল ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ক্ষমতায় থেকে তা প্রদর্শন করলে আল্লাহও নারাজ হন। তাই নেতাকর্মীদের বিনয়ী হতে হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় রমজান মাস আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যেত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে এবার বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। জনগণ স্বস্তিতে রোজা রাখতে পারছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।