শুক্রবার (২৪ মে) ২ জুনের অগ্রিম টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন যেমন ছিল, তেমনি ছিল দীর্ঘ প্রত্যাশা। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে টিকিট পেয়ে অনেককে উল্লাস করতেও দেখা গেছে।
সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিট নেওয়ার পর সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক তরুণী বলেন, প্রাইভেট জব করি। পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে থাকি।
তবে অনেকের অভিযোগ ছিল শীতাতপনিয়ন্ত্রিত টিকিট (এসি) দেওয়া হচ্ছে না। এক ঘণ্টা পরই এসি টিকিট নেই বলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়।
রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় দিনে যাত্রীর চাপ একটু বেশি হয়। তবুও আশা করছি যাঁরা লাইনে দাঁড়াবেন, তারা টিকিট পাবেন।
স্টেশনে দেখা যায়, অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবার টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন যেখানে কাউন্টারের ভেতর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল লাইন, সেখানে আজ কাউন্টার ছাড়িয়ে বাইরে সড়ক পর্যন্ত চলে গেছে। লাইনের প্রথম দিকে টিকিট প্রত্যাশীদের টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় না থাকলেও, শেষে যারা আছেন তাদের মধ্যে সংশয় দেখা গেছে।
নগরের চকবাজার থেকে আসা কামরুন নাহার বলেন, সেহেরী খাওয়ার পরপরই চলে এসেছি। কিন্তু এরমধ্যেও শেষের দিকে দাঁড়াতে হয়েছে। এর চেয়ে সকালে কিভাবে আসি?
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন রফিক আজাদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে-মেয়ের জন্যসহ চারটি টিকিট নিতে এসেছি। কারণ তারা বাস জার্নি করতে পারে না। এ জন্য কষ্ট হলেও রাত ১০টা থেকে স্টেশনে অপেক্ষা করে শুক্রবার টিকিট বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টিকিট পেয়ে গেলাম।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, এবারে রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে না। অগ্রিম টিকিট দেওয়ার পর থেকে কোনো কালোবাজারি আটক হয়নি। এখন রেল অ্যাপসেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
কাল শনিবার (২৫ মে) দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ময়মনসিংগামী বিজয় এক্সপ্রেসে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, গোধূলী, সোনার বাংলা, মেইল এক্সপ্রেস ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
জেইউ/টিসি