বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে সিটি করপোরেশন থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রথম দফায় ৮৪৭ জনকে ২৫০০ টাকা করে ২১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়।
নগরের ৪১ ওয়ার্ডে সড়কবাতি আছে ৫১ হাজার ৫৭৩টি।
এসব সুইচিং পয়েন্টের কাছের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মন্দির ও গির্জার পুরোহিতদের মাধ্যমে একটি সুপরিকল্পিত উপায়ে নগরীর সব সড়কবাতির সুইচ অন অফ করা হয়।
আগে প্রতিজনকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হত। সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর জনপ্রতি ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা সম্মানী ভাতা নির্ধারণ করেন।
সম্মানীভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী।
চসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মেয়র সুইচ অন-অফকারীদের উদ্দেশে বলেন- ধর্ম পালনের পাশাপাশি আপনারা এই মহৎ কাজ করে নগর সেবা ও জাতীয় দায়িত্ব পালন করছেন। আমি মনে করি এই মহান কাজটি এবাদতের অংশ। আপনাদের এই দায়িত্ব পালনের ফলে জাতীয় বিদ্যুৎ অপচয় রোধ হচ্ছে এবং করপোরেশনের জনবল ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে। জাতীয় সম্পদ বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। তাই যথাসময়ে বাতির সুইচ অন-অফ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে দিনের বেলায় দেরিতে সুইচ বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
ধর্মীয় নেতাদের নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র জুমায় খোতবার আগে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এআর/টিসি