বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও নতুন টাকা সংগ্রহ করতে আসা আগ্রহীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নতুন টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র একবার সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে নতুন টাকা সংগ্রহকারীদের ভিড়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া ছয়টি তফসিলি ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকেও দেয়া হচ্ছে নতুন নোট। শাখাগুলো হলো-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পোর্ট কানেকটিং রোড শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের হালিশহর শাখা, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের অক্সিজেন শাখা, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের বহদ্দারহাট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের বন্দরটিলা শাখা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কাটিরহাট শাখা।
বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ছয়টি শাখায় প্রতিদিন ৬০ জনকে বিনিময় মূল্যে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের নির্ধারিত তিন কাউন্টারে অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত নতুন টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। জেলার তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলোতে দেড়শ কোটি নতুন টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নগরের নিউমার্কেট বিপণী বিতান, জিপিও, কোতোয়ালীর মোড় ও লালদিঘীর পাড় এলাকায় ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের নতুন টাকার পসরা নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। সাধারণ গ্রাহকরা নতুন টাকার জন্য এসব ব্যবসায়ীর কাছে ভিড় করছে।
জানা গেছে, ঈদ মৌসুমে দালালচক্র ব্যাংক থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করে বাইরে চড়া দামে বিক্রি করে। এদের দৌরাত্ম্য কমাতে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। তাই কৌশলে তারা নিজেদের লোকজনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা সংগ্রহ করে আসছে।
টাকা ব্যবসায়ীরা দুই টাকা নোটের এক বান্ডেল (১০০টি নোট) ৪০ টাকা লাভে বিক্রি করে ২৪০ টাকায়। পাঁচ টাকার এক বান্ডেল ৫৭০ টাকা, ১০ টাকা নোটের বান্ডেল ১ হাজার ৯০ টাকা, ২০ টাকা নোটের বান্ডেল ২২শ’ টাকা এবং ৫০ টাকা নোটের এক বান্ডেল বিক্রি হয় ৫ হাজার ২৭০ টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, জনপ্রতি ১০০, ৫০, ২০, ১০ টাকা মূল্যমানের এক প্যাকেটে ১৮ হাজার টাকার নতুন নোট বিনিময় মূল্যের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যে কেউ চাইলে কাউন্টার থেকে যেকোনো মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি