চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন চিত্রই দেখা গেছে।
শুধু অগ্রিম টিকিটই নয়, প্রতিদিন সকাল ৭টায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সাড়ে ১২টায় মহানগর এক্সপ্রেস, বিকেল ৩টায় গোধূলী, বিকেল ৫টায় সোনার বাংলা, রাত সাড়ে ১০টায় মেইল এক্সপ্রেস, রাত ১১টায় তূর্ণা এক্সপ্রেসের নিয়মিত যাত্রীরাও কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দেওয়া হচ্ছে ১ জুনের টিকিট। অ্যাপস-এ সহ ১২ হাজার টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ মে) দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, শনিবার (২৫ মে) ৩ জুনের টিকিট এবং রোববার (২৬ মে) ৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে বলেও জানান আবুল কালাম আজাদ।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, এক থেকে সাত নম্বর কাউন্টারের সবকটিতেই যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনছেন। তবে প্রথম দিনের তুলনায় ভিড় অনেক কম। যাত্রীদের নিরাপত্তায় এবং কালোবাজারি ঠেকাতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষায় থাকা সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি যাবো। বাসে যেতে ইচ্ছে করে না, অসহনীয় যানজটে নাকাল হতে হয়। তাই কষ্ট হলেও ট্রেনের টিকিট কিনতে অপেক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত ১ জুনের ৪টি টিকিট পেলাম।
রেলওয়ের অ্যাপসেও বৃহস্পতিবার টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ৫০ শতাংশ টিকিট অ্যাপসে দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের কারণে সার্ভারে ধীরগতির যে সমস্যা ছিল, তা কেটে গেছে বলে জানান রেলওয়ের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি