বুধবার (২২ মে) রাত ১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে এ চিত্র চোখে পড়ে।
একসময় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন চিকিৎসাধীন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে মারা যান।
রোগী কিংবা মরদেহ পরিবহনে হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব অ্যাম্বুলেন্স নিয়মিত হাসপাতালের রোগী আনা-নেওয়া করে।
মোহাম্মদ আল আমীন নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিনদিন ধরে রাত জাগছি। একটিও ভাড়া জুটেনি। ’
‘হাসপাতাল এলাকায় প্রায় আড়াইশ অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। প্রতিযোগিতা অনেক। সিরিয়াল চলে গেলে ভাড়া মেলে না। এজন্য রাত জাগতে হয়। ভাড়া কখন মিলবে ঠিক নেই। ’
১৯৫৭ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে দুই দফা বাড়িয়ে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩টি।
এখনো বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল এ হাসপাতাল। জটিল ও মুমূর্ষু রোগীরা এ হাসপাতালেই ছুটে আসেন।
কিন্তু সুবিধার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা নিতে আসা রোগীদের একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসইউ/টিসি