তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভোর সাড়ে তিনটায় সেহেরী খেয়ে স্টেশনে চলে আসি। এরপরও স্টেশনে এসে দেখি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে অনেকে।
শুধু ফরিদা ইয়াসমিন নন, যারা টিকিট নিতে পেরেছেন তারা বিজয় চিহৃ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অভিযোগও কম ছিল না।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ যাওয়ার সময় টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় যাত্রীরা তাকে একগাদা অভিযোগ শুনিয়েছেন।
মাসুদ সরকার নামে এক যাত্রী বলেন, সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মাত্র ৬জন টিকিট পেয়েছে। কাউন্টারে খুব ধীরগতিতে কাজ চলছে। এতো সময় নেয়ার টিকিট প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সৈয়দ ফারুক আহমদ তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ৫০ শতাংশ টিকিট অ্যাপসে দিলেও বাকি সব টিকিট এ লাইনে দেওয়া হবে। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। টিকিট পাবেন।
সাব্বির হোসেন, ভোর চারটা থেকে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি অভিযোগ করেন, গতকাল রাত থেকে অ্যাপসে অনেক চেষ্টার পরও টিকিট পাননি। ফলে ভোরে স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ ফারুক আহমদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের সময় অনলাইনে ডিস্টার্ব করে। কারণ সবাই একসঙ্গে রেজাল্ট জানার জন্য ঢুকে। ঠিক অ্যাপসেও সবাই টিকিট কাটার জন্য ঢুকছে, তাই সার্ভার ডাউন। তবুও বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কাজ করছে।
এর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, এবার ভিআইপি টিকিট সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। তাই অ্যাপসসহ সবমিলিয়ে ১২ হাজার টিকিট দেওয়া হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাবের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি