সরেজমিন রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, এক থেকে সাত নম্বর কাউন্টারের সবকটিতেই যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। প্রথম কাউন্টারের সামনে নারীদের দাঁড়াতে দেখা গেছে।
৩১ মে’র সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সুমা আক্তার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বুধবার (২২ মে) প্রথম দিন দেয়া হচ্ছে ৩১ মে’র অগ্রিম টিকিট। অ্যাপস সহ প্রায় ১২ হাজার টিকিট দেয়া হবে আজ। ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।
এছাড়া ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল সাতটায়, মহানগর এক্সপ্রেস ১২টা ৩০ মিনিটে, গোধূলী বিকেল ৩টায়, সোনার বাংলা বিকেল ৫টায়, মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১২ হাজার টিকিট দেওয়া হবে। রেলওয়ের অ্যাপসে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার টিকিট ও বাকি ৬ হাজার টিকিট রেলস্টেশনে দেওয়া হবে। এরমধ্যে ভিআইপি টিকিটও রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, এবারে কালোবাজারি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাউন্টারে পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি