সোমবার (২০ মে) সকালে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতার জন্য অনেক পরিকল্পনা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার কাজ আমি করবো। দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে এটা মনে রাখলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য ২০৩০ সালের আগেই পূর্ণ করবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন-স্বাধীন দেশে তারা অক্সিজেন নিতে পারেননি। আমাদের দায়িত্ব বেশি। অন্তরাত্মাকে জিজ্ঞেস করতে হবে। পরিবার, সন্তানের মতো দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুর্বলতা জয় করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের পূজারী ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধারণ করতেন। তার উদারতার সুযোগ নিয়ে লেবাসধারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের মাটিতে ভাটিয়ারির প্যারেডে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন অনাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
পঁচাত্তরের পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল লেবাসধারীরা। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ কিবরিয়া, তাকে হত্যা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঁশখালী হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য।
সভায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বন্দরের কার্যক্রমে নজরদারির জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
সভা শেষে তিনি বন্দরের জেটি, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি