ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে নগরে শান্তি শোভাযাত্রা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে নগরে শান্তি শোভাযাত্রা শান্তি শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের বাণীর প্রধান দিক হলো মৈত্রী বা সম্প্রীতি। তিনি বলেছেন, সকল মানুষ সমান, মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। তিনি মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করেছেন, চেয়েছেন সকল জীবের সুখ ও মঙ্গল। এ আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল পৌনে ১০টায় নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের সামনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এসব কথা বলেন।

মহামতি গৌতম বুদ্ধের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন।                     <div class=

ছবি: উজ্জ্বল ধর" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/CTG-bg220190518122254.jpg" style="margin:1px; width:100%" />বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ব্যবস্থাপনায় বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুনুর রশিদ হাজারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখা)  আবদুল ওয়ারিশ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, মহাসচিব সুদীপ বড়ুয়া, বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্ধার্থ বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সভাপতি জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা।                                             <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/CMP-bg220190518115617.jpg" style="margin:1px; width:100%" />শান্তি শোভাযাত্রাটি নন্দনকানন ডিসি হিল থেকে লালদিঘীর পাড় হয়ে আন্দরকিল্লা-চেরাগী পাহাড়-জামালখান প্রেস ক্লাব ঘুরে বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। ‘অশান্ত বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক’ স্লোগানে শোভাযাত্রায় ঘোড়ার গাড়ি, পিকআপ, রিক্সা ভ্যানে গৌতম বুদ্ধের প্রতিকৃতি ও ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন।

ঢাকের তালে বুদ্ধ কীর্তন পরিবেশনার মাধ্যমে যোগ দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, প্রজ্ঞালো, মঙ্গল সংঘ, সম্যক, ত্রিপিটক রিসার্চ সোসাইটি, সীবলী সংসদ, বুড্ডিস্ট ডেভলপমেন্ট ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ, বৌদ্ধ ছায়াঙ্গন, আর্য্য সংঘ, বৌদ্ধ নবজাগরণ সংঘ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।

নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে সদ্ধর্ম দেশনা।  ছবি: উজ্জ্বল ধরশোভাযাত্রার নিরাপত্তায় নগর পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, সোয়াত, বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট, নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম, মোবাইল টিম, রিজার্ভ ফোর্স এবং র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন।

কাতালগঞ্জ, মোগলটুলী, চান্দগাঁও সহ শহরের ৩১টি মন্দিরে অতিরিক্ত আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান। এছাড়া জেলার ১৬ উপজেলার ২শ’টি বৌদ্ধ মন্দিরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। থানার ওসিদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য সোয়াইং (খাবার) দান।  ছবি: উজ্জ্বল ধরবৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে খৃষ্টপূর্ব ৬২৪ অব্দে নেপালের লুম্বিনীতে গৌতম বুদ্ধের জন্মগ্রহণ, খৃষ্টপূর্ব ৫৮৮ অব্দে নৈরঞ্জনা নদীর তীরে অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে বোধিজ্ঞান লাভ এবং খৃষ্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে ৮০ বছর বয়সে কুশীনগরে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংগঠিত হয়েছিলো বলেই দিনটি ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ নামে খ্যাত। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব।

উপাসক-উপাসিকাদের মোমবাতি প্রজ্বালন।  ছবি: উজ্জ্বল ধরএদিকে ২৫৬৩ বুদ্ধাব্দের এই বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধপূজা, ভিক্ষুসংঘকে পিণ্ডদান করার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ চলছে বিহারগুলোতে। দেশ, জাতি ও বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় ত্রিপিটক পাঠ ও প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন উপাসক-উপাসিকারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর