ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিসত্তার সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিসত্তার সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনিদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে জাতির পাপমোচন করেছেন। তাই শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিসত্তার সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন।

শুক্রবার (১৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আজ থেকে ৩৮ বছর আগে এ দিনে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুই জীবিত সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রায় ৬ বছর নির্বাসনকাল পেরিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন।

সেই সময় জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো সওয়ার হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার। তাদের ইন্ধনে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করছিল।
সেই কঠিন সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দিয়েছেন।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং সব উন্নয়নের সূচক বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। আওয়ামী লীগের এ বিশাল অর্জন সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে যে সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। তাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই যায়। এ মানসিক পরিবর্তন ঘটাতে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে নিবিড় বন্ধন তৈরি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হয়নি বরং তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা এ জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন এবং দারিদ্র্য-বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত লড়াইয়ে বিশ্বনেত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, লায়ন মো. হোসেন, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য এমএ জাফর, গাজী মফিউল আজিম, পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল আলম, মোহব্বত আলী খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল হাসান, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রমুখ।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।