অন্যদিকে বাধার মুখে জিইসি মোড়ে প্রস্তাবিত ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
সিডিএ সূত্র জানায়, এসব ব্রিজ নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়।
বুধবার (১৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদপুরে নবনির্মিত ব্রিজটি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে পুলিশ বক্স বরাবর গিয়ে নেমেছে। কিছু শ্রমিক ব্রিজটিতে রং লাগাচ্ছেন।
অন্যদিকে জিইসি মোড়ের ফুটওভার ব্রিজটি হোটেল জামান ভবনের সামনে থেকে গোল পাহাড় যাওয়ার রাস্তার মুখে নামার কথা ছিল। ইতোমধ্যে উভয় পাশে মাটি সমান পিলার ঢালাই শেষ হয়েছে। তবে এরপর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে। গোল পাহাড় যাওয়ার মুখে রাস্তায় বিশাল জায়গা টিনের ছাউনি দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
মুরাদপুরে কথা হয় পথচারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল আজিজ জিসানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মুরাদপুরে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন হাজারও মানুষ সিগন্যাল ছাড়া রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এতে যানজটের পাশাপশি অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ব্রিজটি হওয়াতে মুরাদপুর যানজট কমে যাবে।
জিইসি এলাকার পথচারী আবদুল কাহার সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ব্যস্ততম মোড়টিতে ফুটওভার ব্রিজ খুবই দরকার ছিল। শুনলাম কারা এটি তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মুরাদপুরের ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ হয়েছে। যে কোনো দিন সেটি উদ্বোধন করা হবে।
‘ব্রিজটি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে পুলিশ বক্স বরাবর গিয়ে নেমেছে। প্রায় ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারে। ’
তিনি বলেন, ‘বাধার মুখে জিইসি মোড়ের ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
জানা গেছে, যানজট এড়াতে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ করে সিডিএ। ফলে মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার পর্যন্ত যানজট অনেকটা কমে গেছে। তবে ফ্লাইওভারের নিচেও এখনো মানবসৃষ্ট যানজট রয়ে গেছে। এজন্য সিডিএ এসব ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ বাংলানিউজকে বলেন, মুরাদপুরের ব্রিজটি শিগগির চালু হবে। জিইসি মোড়ে কাজ শুরুর ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি চট্টগ্রামের লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত। সিডিএর হিসেবে, গড়ে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে দেড় লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসইউ/টিসি