মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে ‘নিরাপদ পানি, স্যানিটেশনের অগ্রগতি, সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়াসার সম্মেলন কক্ষে এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম এ সেমিনার আয়োজন করে।
তিনি আরো বলেন, জনসচেতনতা ছাড়া পরিষ্কার পানি সরবরাহ সম্ভব নয়। কারণ পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার না করি তাহলে সেই পানি দূষিত হয়ে যায়।
ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও গবেষক এসএম আরাফাত।
এসএম আরাফাত বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে প্রথম স্যানিটেশন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়। অর্থ সংকটের কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০৯ সালে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে স্যানিটেশন মাস্টার প্লান তৈরি করা হলেও অদৃশ্য কারণে আলোর মুখ দেখেনি।
‘বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের স্যানিটেশন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সালে সেই প্ল্যান অনুমোদন পায়। এটি ৬টি ধাপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথম ধাপের জন্য তিন হাজার ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রথম ধাপের প্রকল্পের কাজ চলমান। ’
চবি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, হালদা ও কর্ণফুলী নদী যদি কোন কারণে দূষিত হয়ে পড়ে, ওয়াসার কোন বিকল্প পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। তাই নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, জনস্বাস্থ্যর ব্যাপারে আমাদের নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। যে সকল পাত্রে আমরা পানি সংগ্রহ করি সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।
বক্তব্য দেন ওয়াসার সচিব ড. পিযূষ দত্ত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসইউ/টিসি