সোমবার (১৩ মে) চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিমের আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া আরশাদুর রহমান প্রকাশ এরশাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার কাছাহাট এলাকার আবদুল কাদিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আইয়ূব খান বাংলানিউজকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি আরশাদুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কাসাইট্যা গ্রামে দুই দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও গ্রাম্য মেলার আয়োজন করা হয়। আরশাদুর রহমান প্রকাশ এরশাদ মেলায় প্রসাধনী সামগ্রীর একটি দোকান দেন। শফিকুল ইসলামের মেয়ে তোবা মনি তার চাচাতো বোনদের সঙ্গে মেলায় গিয়ে এরশাদের দোকান থেকে চুলের বেন্ড কেনে। পরে সন্ধ্যার দিকে তোবা মনি একা বাড়ি ফেরার পথে এরশাদও তার পিছু নেয়। এরশাদ তাকে তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে একটি শিমক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে যায়।
২১ ডিসেম্বর তোবার বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ১৩ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামির দোষ স্বীকার করে দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এসকে/টিসি