ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা প্রকল্পে সমন্বিত উদ্যোগে গুরুত্ব মেয়রের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
জলাবদ্ধতা প্রকল্পে সমন্বিত উদ্যোগে গুরুত্ব মেয়রের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্বৈততা পরিহার ও সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিডিএ কনফারেন্স হলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  (সিডিএ) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে মেয়র এ গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।

>> বারিক বিল্ডিং থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে চান মেয়র

সভায় জানানো হয়, মরিয়ম বিবি খাল, মহেষখাল, প্রবর্তক মোড় ব্রিজ, সমশের পাড়া হাজির পুলসহ বিভিন্ন অংশে দ্বৈততা রয়েছে। যা দূর করার লক্ষ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে যৌক্তিক প্রস্তাবনা তৈরির জন্য চসিকের প্রধান প্রকৌশলী ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মেয়র বলেন, সামনে বর্যা মৌসুম। জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতার প্রকোপ যত কমিয়ে আনা যায়  সেদিকে লক্ষ রেখে চট্টগ্রামের সব জনপ্রতিনিধির জলবদ্ধতা নিরসনে মতামত নেওয়া এবং গ্রহণ করায় ভালো হয়েছে। এতে দু’প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের সমন্বয় হবে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলররা এলাকায় থাকেন। এলাকার সমস্যা সম্পর্কে তারাই বেশি জানেন। তাদের মাধ্যমে নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করা গেলে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তারই ধারাবাহিকতায়  চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১৭ সালে চারটি প্রকল্পে ১০ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সিডিএ বাস্তবায়ন করছে ৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার দু’টি প্রকল্প। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া চসিক ১ হাজার ২৫৬ কোটি বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী খাল খননের দায়িত্ব পেয়েছে। এসব প্রকল্পে নালা-নর্দমা ও খালের পুনঃখনন, বাঁধ নির্মাণ, জোয়ার প্রতিরোধক ফটক, খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং বালুর ফাঁদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে চসিকের এ প্রকল্পটি নতুন খাল খনন এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  

মেয়র বলেন,জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য সিডিএ, চসিক, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর অতিবাহিত হয়েছে আগামী জুন ২০২০ এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা তাদের পক্ষে অসম্ভব এবং আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই।  

তিনি  বলেন, সমন্বয় করে এই নগরের যাবতীয় উন্নয়ন করতে হবে। চসিক এবং সিডিএ দু’টিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা যারা এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছি তারা শুধু দায়িত্ব পালন করে চলেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ প্রকল্প যাতে টেকসই হয়, নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও সুফল বয়ে আনতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় বছরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের যতটুকু অগ্রগতি হওয়ার দরকার ছিল ততটুকু হয়নি। এ প্রকল্প কীভাবে সফল করা যায় চসিক, সিডিএসহ নগরের সব সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।  

সভায় বক্তব্য দেন চসিক কাউন্সিলর ও সিডিএর বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, তারেক সোলায়মান সেলিম, জসিম উদ্দিন শাহ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক,  সিডিএর সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, চিফ টাউন প্লানার শাহিনুল ইসলাম খান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এআর/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।