ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৪-১৯ টাকায় খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৯
১৪-১৯ টাকায় খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ

চট্টগ্রাম: ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ও জাত ভেদে ১৪-১৯ টাকা। তবে চীনা রসুনের দাম ৫ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা চীনা ও থাইল্যান্ডের আদা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা।

পেঁয়াজের বড় আড়তগুলো খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেটে। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থির হয়ে আছে।

সরবরাহও পর্যাপ্ত।

তিনি জানান, ভারতের খাসখালী জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪-১৬ টাকা।

নাসিক জাতের পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকা। চীনা রসুন ১০০-১০৫ টাকা, দেশি রসুন ৪০-৬০ টাকা। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা।

এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, চট্টগ্রামের মানুষের প্রথম পছন্দ ভারতের সুন্দর পেঁয়াজগুলো। দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ বেশি হলেও খাতুনগঞ্জে খুব বেশি চাহিদা নেই।

হকস করপোরেশনের একজন বিক্রয়কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, পাবনা থেকে কিছু মাঝারি আকারের দেশি পেঁয়াজ এসেছে। পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।

আল্লারদান স্টোরের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধের সময় আমদানি করা রসুন ও আদার দাম কিছুটা বেড়ে যায় পাইকারিতে। এখন পণ্য খালাস স্বাভাবিক হওয়ায় আদার দাম স্থির হয়েছে ৭৫ টাকা। তবে রসুনের দাম কিছুটা বাড়তি। সোমবার (৬ মে) চীনা রসুন বিক্রি করেছি ৯৫-১০০ টাকা। এখন সেটি ১০৫ টাকা চাইছে।

গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডারের ব্যবস্থাপক জানান, লাল প্লাস্টিকের নেটের বস্তায় ভারতের খাসখালী, বেলডাঙা, সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ এনেছেন বেপারিরা। কেজি প্রতি দাম ১৪-১৬ টাকা। নাসিক পেঁয়াজের বস্তা চটের। কেজি প্রতি দাম পড়ছে ১৮-১৯ টাকা।      

আড়দদারেরা বাংলানিউজকে জানান, একজন খুচরা বিক্রেতা বা পাইকারি ক্রেতা আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনলে কেজি প্রতি ৩০ পয়সা আড়তদারি দিতে হয়। এ ছাড়া আড়ত থেকে রিকশা, পিক আপ বা ট্রাকে পেঁয়াজের প্রতি বস্তা তোলা বাবদ কুলিকে দিতে হয় ১৫ টাকা। আড়তদার কেজি প্রতি ৩০ পয়সা কমিশন পেয়ে থাকেন বেপারির কাছ থেকেও। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়লে বা কমলেও আড়তদারদের লাভ-লোকসান তেমন নেই। এ ছাড়া চট্টগ্রামে পেঁয়াজের আমদানিকারকও নেই।

এ দিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ২০-২২  টাকা। রমজান মৌসুমের বাড়তি চাহিদার সুযোগে অনেকে কমদামি পেঁয়াজ কিনে রিকশাভ্যানে বিক্রি করছেন অলিগলিতে। ১৮-২০ টাকা হলেই তারা গ্রাহককে গছিয়ে দিচ্ছেন পেঁয়াজ। কোনো কোনো দোকানি বেশি দামে কেনা, পড়তা বেশি ইত্যাদি বলে ২৫ টাকায় বিক্রি করছেন পেঁয়াজ।

হামিদুল্লাহ মার্কেটের মেসার্স বাচা মিয়া সওদাগর নামের আড়াতের একজন ব্যবস্থাপক বাংলানিউজকে বলেন, বস্তার পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিয়ে, গাড়ি ভাড়া, পলিথিন ইত্যাদি খরচ যোগ করে কেজি প্রতি খুচরা সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ২ টাকা। বাস্তবতা হচ্ছে পাইকারি-খুচরার ব্যবধানটা অনেক বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad