সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এনসিটি, সিসিটি, জিসিবিতে এসব কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। একই সময়ে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৫০৬ টিইইউ’স।
>> ২৪টি জাহাজ ভিড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে
>> সচল হলো চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালগুলো
>> ঘূর্ণিঝড় ফণী: জাহাজশূন্য করা হলো চট্টগ্রাম বন্দর জেটি
বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিগুলো জাহাজশূন্য করার পর পুনরায় রোববার (৫ মে) সকাল আটটা থেকে একে একে জাহাজ বন্দর জেটিতে আনা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এনসিটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো শুরু হয়।
বন্দরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বহির্নোঙরে জাহাজ ছিল ৮৬টি। এর মধ্যে সাধারণ পণ্যবাহী ১৫টি, খাদ্যশস্যের ৮টি, সিমেন্ট ক্লিংকারের ১৭টি, চিনির ২টি, লবণের ১টি এবং ৬টি অয়েল ট্যাংকারে লাইটারিংয়ের কাজ চলে। কাজ হয়নি ৩৭টি জাহাজে। রিভারমুরিং ও স্পেশাল বার্থে ১টি খাদ্যশস্য, ১টি সার, ১টি ক্লিংকার ও ৩টি অয়েল ট্যাংকারে খালাসের কাজ হয়েছে। মেইন জেটিতে ১০টি কনটেইনারবাহী জাহাজ, ৪টি সাধারণ পণ্যবাহী ও ১টি ক্লিংকার বোঝাই জাহাজে কাজ হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে বন্দরে নামানো হয় ৩ হাজার ২০৬ বক্সে ৪ হাজার ৬০১ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) কনটেইনার। জাহাজে তোলা হয় ২ হাজার ৪৭ বক্সে ২ হাজার ৮১৯ টিইইউ’স। ঢাকা আইসিডি থেকে এসেছে ৬৫ বক্সে ১২২ টিইইউ’স। ডিপো থেকে এসেছে ৪১০ বক্সে ৭২১ টিইইউ’স। ডিপো থেকে খালি কনটেইনার বন্দরে এসেছে ১১৬ বক্সে ২০৪ টিইইউ’স।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউ’স কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে কনটেইনার রয়েছে ৩৯ হাজার ১৭৬ টিইইউ’স। এর মধ্যে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ৩৪ হাজার ৪৪৬টিইইউ’স। রপ্তানি পণ্য ভর্তি কনটেইনার মাত্র ৫২২ টিইইউ’স। খালি কনটেইনার আছে ৪ হাজার ২০৮ টিইইউ’স।
বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র পর পুরোদমে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চলছে। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন, উন্নত ব্যবস্থাপনা, অটোমেশন ও কর্তৃপক্ষের নজরদারির কারণে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত দুর্যোগকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এআর/টিসি