রোববার (৫ মে) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মতবিনিময় করে এ আহ্বান জানান তিনি।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, রমজানে চাল, ডাল, চিনি, তেল ও ছোলাবুটের আমদানি ও বিক্রয়মূল্য যাচাই করতে হবে।
তিনি বলেন, আমদানি মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চার্জের অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করা একরকম নিয়মেই পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ফলে প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হারে ভেজালখাদ্য দ্রব্যাদি জব্দ করা হচ্ছে। ফুটপাতের পাশের দোকান থেকে শুরু করে অনেক নামি-দামি প্রতিষ্ঠানও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করছে। যার ফলে জনগন ভেজাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আছে যাতে জনগণ ভেজালমুক্ত খাবারগ্রহণ করতে পারে। সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দফায় দফায় সভা করে আমাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিনিয়তই ভেজালবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আসন্ন রমজান মাসে এ অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন এডিসি জেনারেল কামাল হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব হোসেন কোম্পানি, সমাজসেবক আব্দুর রহমান মিয়া, এজাহারুল হক, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, অনির্বান দাশ বাবু, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, রকিবুল আলম সাজ্জী, সরওয়ার্দী এলিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না, শুভ চক্রবর্ত্তী, হাসান মুরাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জেইউ/টিসি