শনিবার (৪ মে) রাতে ও রোববার (৫ মে) সকালে গড়দুয়ারা থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত এলাকায় হাটহাজারী ও রাউজানের মাছের ডিম সংগ্রহকারীরা ‘নমুনা ডিম’ পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, উত্তর মাদার্শা এলাকার ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন তারা মা-মাছের আনাগোনা দেখছেন এবং অল্প নমুনা ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরীয়া বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে নমুনা ডিম ছাড়ার খবর পেয়েছি। রোববার (৫ মে) বিকেলে আমরা হালদা পরিদর্শন করবো।
তিনি বলেন, নমুনা ডিম ছাড়ার অর্থ হচ্ছে মা মাছ প্রস্তুত। মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখছে ডিম ছাড়ার পরিবেশ, প্যারামিটারগুলো ঠিক আছে কিনা। যদি সব অনুকূলে থাকে তবে ডিম ছাড়বে। এদিকে জেলেরাও জাল, বালতি, নৌকা নিয়ে প্রস্তুত।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিষয়ে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। এমনও হতে পারে জোয়ারের সময় ডিম ছেড়ে দেবে। সবকিছু নির্ভর করছে সময়ের ওপর।
গড়দুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বাংলানিউজকে বলেন, দু-চারটি নমুনা ডিম পেয়েছি আমরা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জোয়ারের উচ্চতা ও পানি বেশি। সবাই ডিম সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সবই আল্লাহর কুদরতের ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি