ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামবাসীর আবেগের বিষয়: হানিফ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামবাসীর আবেগের বিষয়: হানিফ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির আমলে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫শ’ ডলার আর এখন ১৯শ’ ডলার। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসায় ব্যস্ত। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী নিযুক্ত করায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এবং কর্ণফুলী টানেল নাকি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প। অথচ এ পদ্মা সেতু ২৫টির অধিক জেলার মানুষ ছাড়াও পুরো দেশবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প।

আর কর্ণফুলী টানেল পুরো চট্টগ্রামবাসীর আবেগের বিষয়। দেশের মানুষের স্বপ্ন ও আবেগকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন বলেই তার দলের নেতারাও এখন তাকে বিশ্বাস করে না।

আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে বিশেষ সহকারী করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীকে সম্মানিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া নীরবে, নিভৃতে কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন প্রতিদান দেয়ার পালা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রত্যেক ঘরে ঘরে কর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে এ ঋণ শোধ করতে হবে।

সংবর্ধিত অতিথি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এখন রাজাকারের ঘাঁটি নেই। আমি এখনো জননেতা হতে পারিনি। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে থাকতে চাই।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি, জাফর আলম চৌধুরী এমপি ও ওয়াশিকা আয়শা খান এমপি। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিডিএর সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাস্টার ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহামুদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সাঈদ, শাহজাদা মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মির্জা কচির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, নুরুল আবছার চৌধুরী, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, আবুল কালাম আজাদ, শাহিদা আকতার জাহান, অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী,  জসীম উদ্দিন, এম হোসেন কবির, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব, আবদুল কইয়ূম চৌধুরী, বিজয় কুমার বড়ুয়া, আদিত্য নন্দী, আরশাদুল আলম বাচ্চু, যুবলীগ নেতা পার্থ সারথী চৌধুরী, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবীবা, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, সহ সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।