বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ শেখ মোজাফফর আহমদের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় মেয়র বলেন, শহীদ শেখ মোজাফফর আহমদের নামে একটি সড়ক ও স্থাপনার নামকরণের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই শেখ মোজাফফর আহমদের মতো একজন উঁচুস্তরের নেতা ও তার মেজ সন্তানকে হানাদার বাহিনী গুম করে ফেলে। আমাদের দুর্ভাগ্য এই পিতা-পুত্রের মরদেহ আমরা পাইনি এবং তাদের কোনো কবরস্থানও নেই।
তিনি বলেন, নগর আওয়ামী লীগ এ সব বরণ্য প্রয়াত নেতার জীবন ও কর্মকে ধারণ করে প্রতিবছর স্মরণানুষ্ঠান করে যাচ্ছে। ইচ্ছে আছে অচিরেই তাদের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের।
অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ মোজাফফর আহমদের পরিবারের পক্ষে তার সন্তান কবি শেখ খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শেখ মোজাফফর আহমদ সম্পর্কে এ প্রজন্ম কিছুই জানেন না। চট্টগ্রামে ভাষা শহীদ স্মরণে লালদীঘি চত্বরে তিনি প্রথম অস্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এবং সর্বোপরি তিনি যখন পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন তখন করাচিতে সংসদ অধিবেশনে পূর্ব বাংলা থেকে নির্বাচিত এমপিদের বাংলায় কথা বলার জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভার নীরবতা পালন ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন মাওলানা সৈয়দ শামসুল হুদা আল মাইজভান্ডারী।
স্মরণসভায় আলোচনা করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, মরহুমের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ শহীদুল আনোয়ার প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মো. হোসেন, জহরলাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য মো. আবুল মনসুর, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বেলাল আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এআর/টিসি