বু্ধবার (০১ মে) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালতে জবানবন্দি দেন সোহেল।
আদালত জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, 'আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহেল। '
পু্লিশ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'জবানবন্দিতে সোহেল জানিয়েছেন- রোকসানাকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চেয়েছিলেন সোহেল।
রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, তেল ও গমের ডিও এবং স্বর্ণালংকার ব্যাগে ভরে নেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সোহেল।
বুধবার ভোররাতে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার সোহেল নিহত রোকসানার স্বামী আবুল কাশেমকে মামা ডাকতেন।
সোহেল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ঈদ পুকুরিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, হত্যার পর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আবদুস সোবহান নামে এক পথচারী বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন সোহেল। সেখান থেকে পালিয়ে এসে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকার নিউ পার্ক বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে থাকেন সোহেল।
সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জ থেকে বের হয়ে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে ১ হাজার ৮০০ টাকায় নতুন বাসা ভাড়া নেন সোহেল। পরে ফোন করে স্ত্রীকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আসতে বলেন। সেখান থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সোহেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসকে/টিসি