বাংলানিউজকে শায়লা তাশনুভা বলেন, সারাবিশ্বেই মে দিবস পালন করা হয়, মানুষ ছুটি পায়। কিন্তু এ ধরনের সুযোগ চিকিৎসা পেশায় নেই।
তরুণ এ চিকিৎসক বলেন, মানুষ যখন দিবস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন আমাদের রোগীকে নিয়ে লড়তে হয়।
‘তবে চিকিৎসা দেয়ার পর রোগীরা যখন হেসে কথা বলেন, তখন আর মন খারাপ থাকে না। ছুটির দিন সেবা দিচ্ছি সেটিও ভুলে যাই। এটাই মূলত আমাদের পাওয়া। ’
বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বুধবার সকালে চমেক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসকরা ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছেন। নার্স-আয়া-ওয়ার্ডবয়রাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলিম্যানরা রোগী নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চিকিৎসক জিসানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষাজীবনে মে দিবসের দিন ছুটি পেতাম।
‘এ পেশাতে আসার পর মে দিবসের কোন অস্তিত্ব নিজের জীবনে পাইনি এবং সেটি নিয়ে আক্ষেপ নেই। কারণ চিকিৎসাসেবা একটি মহৎ পেশা। এ পেশা থেকে মানুষের উপকার করা খুবই সহজ। ’
‘অনেক রোগীর জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়। যদি দায়িত্ব পালন না করে ঘরে বসে থাকি রোগীর ক্ষতি হয়ে যাবে। এমন চিন্তা থেকে বন্ধের দিনও রোগীর টানে হাসপাতালে আসা। ’
এদিসে মে দিবসের দিন সরকারি বন্ধ ঘোষণা করা হলেও চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ দিনে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয় পালাক্রমে। পাশাপাশি নার্স-আয়া-ওয়ার্ডবয়রাও ডিউটি পালন করেন।
চমেক হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জরুরি চিকিৎসা সেবা চলছে। রোস্টার অনুযায়ী চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নার্সসহ অন্যরাও হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসইউ/টিসি