শ্রমজীবী এসব মানুষকে ‘কিনতে আসেন’ মানুষই। দৈনিক চুক্তিতে কাজের জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
চকবাজার মোড়ে অপেক্ষায় ছিলেন মো. ইউনুস মিয়া (৬০) নামে এক শ্রমিক। বাড়ি কিশোরগঞ্জে হলেও জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে রয়েছেন দীর্ঘদিন। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার তার।
মো. ইউনুস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘মে দিবস বুঝি না। কাজ বুঝি। কাজ করে খেতে হয় আমাদের। ’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় কাজ পাই না। বাসায় চলে যেতে হয়। তখন সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। ’
ইউনুস মিয়ার মতো সৈয়দ আহমদ, সেলিম হোসেন, বাচ্চু হাওলাদার, রফিক আহমদসহ আরও অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন কাজের জন্য।
বাচ্চু হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘মালিকরা সবমসময় কম টাকায় শ্রমিক চান। বেশি কখনও দিতে চান না। ৩০০ টাকায়ও মাঝে মাঝে কাজ করতে হয় আমাদের। ’
বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ‘কীসের শ্রমিক দিবস। এসব দিবস দিয়ে কী হবে! কয়েকজনকে দেখলাম গাড়ি চলতে দিচ্ছে না। এগুলা করে তো নিজেরই লস। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসকে/টিসি