মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীর কার্যালয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরঞ্জন চক্রবর্তীর পুত্রবধূ শীমা চক্রবর্তী ও নাতনি পাপিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধর, ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী, হিন্দু নেতা বিশ্বেশ্বর গুপ্ত, তাপস বল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিরঞ্জন চক্রবর্তীর নাতনি পাপিয়া চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার আপাতত মিমাংসা হয়েছে। জমি ফেরত দিতে আসামিদের সঙ্গে আপোষনামা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রীর নির্দেশে উভয়পক্ষকে নিয়ে আমরা সমঝোতায় এসেছি। পণ্ডিত নিরঞ্জন চক্রবর্তীর জমি ফেরত দেয়া হচ্ছে’।
>>আরও খবর: ভিটে ছাড়লেন বৃদ্ধ নিরঞ্জন, নেপথ্যে সাত ভূমিদস্যু
এর আগে গত ১০ এপ্রিল (বুধবার) সন্ধ্যায় আনোয়ারার জয়কালী হাট সরস্বতী মন্দির সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ৭-৮ জনের একটি দল অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শয্যাশায়ী নিরঞ্জন পণ্ডিতের সামনে ছেলে-মেয়েকে জিম্মি করে দলিলে বাবার টিপসই এবং সাক্ষী বানিয়ে তার স্বাক্ষর নেয় বলে দাবি করেন ছেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রণব রঞ্জন চক্রবর্তী।
এরপর থেকে বাড়ি ও ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দিরটি তালাবদ্ধ ছিল। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে শহরে চলে আসে পুরো পরিবার। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে আনোয়ারার ওই বাড়িটি ছিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঠিকানা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। সংবাদমাধ্যমগুলোও সোচ্চার হয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এর হস্তক্ষেপে থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর বাড়ি-ভিটে রেজিস্ট্রি ও দখলে নেয়া ব্যক্তিরা সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এসি/টিসি