রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম ওয়াসার সম্মেলন কক্ষে গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ চালু হবে।
‘ইতোমধ্যে মূল শহরের অনেক জায়গায় পানি রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন পানি ওভার ফ্লো হয়ে পাইপ দিয়ে বের হয়। তবে শহরের আশপাশের কিছু জায়গায় পানি সংকট রয়েছে। ওয়াসার যে প্রকল্পগুলো চলমান, সেগুলোর কাজ শেষ হলে আর সংকট থাকবে না। ’
গরমে পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, গরমে প্রাকৃতিকভাবে পানির ব্যবহার বাড়ে। এজন্য সংকট তৈরি হচ্ছে। তবে সংকট নিরসনে কাজ চলছে।
একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, গ্রাহকের পাইপলাইন লিকেজ হয়ে গেলে সেখানে ময়লা যুক্ত হয়ে পানি দুর্গন্ধ হচ্ছে। ওয়াসার লাইন লিকেজের সুযোগ নেই।
তবুও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পেলে ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানান তিনি।
রমজানে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, রোজায় পানি সরবরাহ সচল রাখতে সব জায়গায় জনবল রাখা হয়েছে। জেনারেটরগুলো সচল রাখা হচ্ছে, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও পানি সরবরাহ ঠিক থাকে। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ভ্রাম্যমাণ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে।
মতবিনিময়কালে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি