ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চ্যাম্পিয়ন হবোই, এ মন্ত্র নিয়ে এগিয়েছি’

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
‘চ্যাম্পিয়ন হবোই, এ মন্ত্র নিয়ে এগিয়েছি’ চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ১০৯তম আসরে অল্পের জন্য হেরেছেন তিনি। তারপর একটি বছর নিজেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তৈরি করেছেন। সিআরবির সাহাবউদ্দিনের বলী খেলা থেকে সাতকানিয়ার মক্কার বলী খেলা। ফিটনেস ধরে রাখতে কোনো খেলায় বাদ দেননি। ফলাফলে সফল তিনি। কারণ যে ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’।

খেলার শুরুর সময় শাহজালাল বলী ও জীবন বলীর অ্যাকশন ।  ছবি: উজ্জ্বল ধরলালদীঘি মাঠে জব্বারের বলী খেলায় ১১০তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কুমিল্লার শাহজালাল বলী ওই একটি বাক্যই বারবার উচ্চারণ করেছেন।

তারপর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে নিয়ে তাতে চুমু দিয়ে শাহজালাল বলীর যেনো বিশ্ব জয়ের হাসি।

যাওয়ার পথে আরও দুয়েকটি কথা তিনি বলে গেছেন-‘পরিশ্রম করেছি তাই সফল হয়েছি।

চ্যাম্পিয়ন হবোই, এ মন্ত্র নিয়ে এগিয়েছি। সামনে আরও খেলব, চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার চেষ্টা করবো। ’

 ছবি: উজ্জ্বল ধরএর আগে সোয়া চারটায় জব্বারের বলী খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পর প্রথম রাউন্ড শেষ হয় পাঁচটার দিকে। পরে ১৬জন বলী দ্বিতীয় রাউন্ডে সরাসরি অংশ নেন। সেখান থেকে সেমিফাইনালে উঠেন সাহাব উদ্দিন, শাহ জালাল, তারিকুল আলম জীবন ও মো. হোসেন।

সেমিফাইনালে সাহাব উদ্দিন ও শাহ জালাল বলীর মধ্যে খেলা শুরু হয় ৫টা ২১ মিনিটে। তাদের মধ্যে খেলা হয় তিন মিনিট ২৯ সেকেন্ড। এ সময়ের মধ্যে শাহজালাল সাহাব উদ্দীন বলীকে হারিয়ে ফাইনালে উঠার যোগ্যতা অর্জন করেন। তারপর ৫টা ২৪ মিনিটে তারিকুল আলম জীবন ও মো. হোসেনের মধ্যে খেলা শুরু হয়। ১০ মিনিট খেলার পরও যখন কেউ কাউকে হারাতে পারেনি তখন রেফারি টসের মাধ্যমে ভাগ্য গড়ে দেন। এ ভাগ্যে জিতে যান জীবন বলী।

হাঁটু ধরে জীবন বলীকে ফেলার কারণে বিতর্ক  হয়।   ছবি: উজ্জ্বল ধর৫টা ৪১ মিনিটের একটু আগের সময় মাঠে উঠবেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলী ও রার্নাস আপ কুমিল্লার শাহজালাল বলী। এবার দর্শকরা ভাগ হয়ে স্লোগান দিতে লাগলেন। এক পক্ষ জীবন বলীর হয়ে আর অন্য পক্ষ শাহজালালের হয়ে স্লোগান দেন।

৫টা ৪২ মিনিটে জীবন বলী ও শাহজালাল বলীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ৬ মিনিট সময় পর্যন্ত একে অপরকে হারানোর চেষ্টা করেও পারেনি। ৮ মিনিটের সময় শাহজালাল বলী জীবন বলীকে মাটিতে ফেলে দেন। এসময় শাহজালাল হাত উঁচু করে নিজেকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার সময় রেফারির না। কারণ তিনি জীবন বলীকে পা ধরে মাটিতে ফেলেছেন। বলী খেলার নিয়মনুযায়ী তিনি এটি করতে পারেন না।

ছবি: উজ্জ্বল ধরতবে রেফারি এটিকে ভুল বললেও কমিটির লোকজন শাহজালালকে বোনাস পয়েন্ট দিতে বলেন। অর্থাৎ শাহজালাল আরেক পয়েন্ট পেলেই বা জীবন বলীকে আবার ফেলতে পারলেই তিনি চ্যাম্পিয়ন। ৬টা ৬ মিনিটে শাহজালাল আবারও জীবন বলীকে মাটিতে ফেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে নেন। এবার রেফারি শাহজালাল বলীকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।

তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেননি পরাজিত জীবন বলী। তিনি খেলা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ৯ বছর ধরে খেলা আসছি। এরকম খেলার নিয়ম কখনও দেখেনি। এটি আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।


বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।