লালদীঘি মাঠে জব্বারের বলী খেলায় ১১০তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কুমিল্লার শাহজালাল বলী ওই একটি বাক্যই বারবার উচ্চারণ করেছেন।
যাওয়ার পথে আরও দুয়েকটি কথা তিনি বলে গেছেন-‘পরিশ্রম করেছি তাই সফল হয়েছি।
এর আগে সোয়া চারটায় জব্বারের বলী খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পর প্রথম রাউন্ড শেষ হয় পাঁচটার দিকে। পরে ১৬জন বলী দ্বিতীয় রাউন্ডে সরাসরি অংশ নেন। সেখান থেকে সেমিফাইনালে উঠেন সাহাব উদ্দিন, শাহ জালাল, তারিকুল আলম জীবন ও মো. হোসেন।
সেমিফাইনালে সাহাব উদ্দিন ও শাহ জালাল বলীর মধ্যে খেলা শুরু হয় ৫টা ২১ মিনিটে। তাদের মধ্যে খেলা হয় তিন মিনিট ২৯ সেকেন্ড। এ সময়ের মধ্যে শাহজালাল সাহাব উদ্দীন বলীকে হারিয়ে ফাইনালে উঠার যোগ্যতা অর্জন করেন। তারপর ৫টা ২৪ মিনিটে তারিকুল আলম জীবন ও মো. হোসেনের মধ্যে খেলা শুরু হয়। ১০ মিনিট খেলার পরও যখন কেউ কাউকে হারাতে পারেনি তখন রেফারি টসের মাধ্যমে ভাগ্য গড়ে দেন। এ ভাগ্যে জিতে যান জীবন বলী।
৫টা ৪১ মিনিটের একটু আগের সময় মাঠে উঠবেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলী ও রার্নাস আপ কুমিল্লার শাহজালাল বলী। এবার দর্শকরা ভাগ হয়ে স্লোগান দিতে লাগলেন। এক পক্ষ জীবন বলীর হয়ে আর অন্য পক্ষ শাহজালালের হয়ে স্লোগান দেন।
৫টা ৪২ মিনিটে জীবন বলী ও শাহজালাল বলীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ৬ মিনিট সময় পর্যন্ত একে অপরকে হারানোর চেষ্টা করেও পারেনি। ৮ মিনিটের সময় শাহজালাল বলী জীবন বলীকে মাটিতে ফেলে দেন। এসময় শাহজালাল হাত উঁচু করে নিজেকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার সময় রেফারির না। কারণ তিনি জীবন বলীকে পা ধরে মাটিতে ফেলেছেন। বলী খেলার নিয়মনুযায়ী তিনি এটি করতে পারেন না।
তবে রেফারি এটিকে ভুল বললেও কমিটির লোকজন শাহজালালকে বোনাস পয়েন্ট দিতে বলেন। অর্থাৎ শাহজালাল আরেক পয়েন্ট পেলেই বা জীবন বলীকে আবার ফেলতে পারলেই তিনি চ্যাম্পিয়ন। ৬টা ৬ মিনিটে শাহজালাল আবারও জীবন বলীকে মাটিতে ফেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে নেন। এবার রেফারি শাহজালাল বলীকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।
তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেননি পরাজিত জীবন বলী। তিনি খেলা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ৯ বছর ধরে খেলা আসছি। এরকম খেলার নিয়ম কখনও দেখেনি। এটি আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
জেইউ/টিসি